বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশ কর্মকর্তা উত্তমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা কলকাতায় উদ্ধার মাংসের টুকরোগুলো এমপি আনারেরই হবে : ডিবিপ্রধান লন্ডনে পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনপন্থীদের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ৪০ কারাগারে অসুস্থ বিএনপি নেতা ইশরাক যারা আত্মসমর্পণ করেননি, তাদের কী হবে শুধু আল্লাহই জানেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাজাবাসীকে ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত না করা’ নিশ্চিত করার আহ্বান মিসরের প্রেসিডেন্টের সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা : মির্জা ফখরুল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দ্রুত পুনর্গঠনে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে তাপমাত্রা ৫৩ ছুঁইছুঁই, একজনের মৃত্যু
মেজর সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

মেজর সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

স্বদেশ ডেস্ক:

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে; যা চলবে আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। এই তিনদিনে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতে উপস্থিত থাকতে ১৫ জন সাক্ষীকে সমন জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

কক্সবাজার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, আজ সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে তিনদিনের এ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মামলায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রথম দফায় ১৫ জনকে উপস্থিত থাকতে ইতিমধ্যে সমন জারি করা হয়েছে।

আজ সকাল সোয়া ১০টায় মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্যদানের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী। এ ছাড়া মামলার ১৫ জন আসামিকে সকাল পৌনে ১০টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।

এর আগে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই সাক্ষ্যদানের দিন ধার্য থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায়। পরে গত ১৬ আগস্ট আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল বলেন, আজ সকাল সোয়া ১০টায় সিনহা হত্যা মামলার প্রথমদিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। প্রথম দফায় তিনদিনের এই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য মামলার মোট ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থিত থাকতে সমন জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত আদালতে উপস্থিত রয়েছেন। বিচারক বিচারকাজের শুরুতেই মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেছেন।

মামলার ১৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘ইতিপূর্বে গত ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে তা পিছিয়ে যায়। পরে গত ১৬ আগস্ট আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছেন।’

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর আবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় সেই সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‍্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করে। সিনহা নিহতের ছয়দিন পর সাবেক পরির্দশক লিয়াকত আলী ও সাবেক ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন স্বাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারী আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এক পর্যায়ে পলাতক থাকা অবস্থায় টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সর্বশেষ গত ২৪ জুন মামলার একমাত্র পলাতক থাকা আসামি টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণকারী সাবেক এএসআই সাগর দেব ছাড়া র্যা ব ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন র‍্যাব ১৫-তে দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলার আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মোহাম্মদ মোস্তফা, এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী নুরুল আমিন, নেজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আয়াজ, টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাবেক এএসআই সাগর দেব।

গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল এ মামলার অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য গত ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত দিন ধার্য করেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে ওই ধার্য দিনগুলোতে সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে যায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877